হলদিয়ায় আ’লীগের প্রবীণ নেতাকে হামলার ঘটনায় মামলা না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
উখিয়ার মরিচ্যার পাগলিরবিল গ্রামে জমির বিরোধ নিয়ে মারামারির ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতার টাকা ও দাপটের কাছে পরাজিত হয়েছে আওয়ামীলীগের বর্তমান নেতা! চাচা ভাইপো ও ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি ঘটনায় চাচা জাফর আলম ও চাচাত ভাই বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রায়হান।

মামলায় আসামী করা হয়েছে আপন চাচা, হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জাফর আলম সওদাগর ও তার পুত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বাবুলকে। মারামারির ঘটনায় রায়হানের আঘাতে চাচা জাফর সওদাগর রক্তাক্ত হয়। তাদের একটি সিএনজি ভাংচুর হয়। ঘটনার পরপরই এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।

অপরদিকে রায়হানও রক্তাক্ত হয়। ওই ঘটনায় দু’ পক্ষের দুজন আহত হলেও সাবেক ছাত্রলীগ নেতার রায়হানের দায়ের করা মামলাটি রেকর্ড হয়েছে।আওয়ামীলীগ নেতা পিতা-পুত্র জাফর সওদাগর ও বাবুলের দায়ের করা মামলা এখনো রেকর্ড হয়নি।

এদিকে একতরফা মামলা দায়েরের ঘটনায় জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ঘনিষ্ঠ আত্নীয়স্বজনের মধ্যে সংঘটিত এ ঘটনায় দুপক্ষের দুজন গুরুতর আহত হলেও প্রভাবশালী গোষ্ঠির ইন্ধনে একতরফা মামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

তাদের দাবী, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় আহত রায়হান ও জাফর সওদাগর সম্পর্কে আপন চাচা ভাইপো। রায়হান হলদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগে সাবেক সভাপতি। অপরদিকে জাফর সওদাগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি। জাফর সওদাগরের ছেলে বাবুল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু ঘটনাটি এভাবে প্রচার করা হয়, রায়হান আওয়ামীলীগ করে, রায়হানের চাচা ও চাচাত ভাই আওয়ামীলীগ বিরোধী। বাস্তবতা হচ্ছে, বাবুলের দেখানো পথে হেটে ছাত্রলীগের নেতা হয়েছে রায়হান। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠে সে। দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী গোষ্ঠির ইন্ধনে চাচার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে রায়হান।

উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তিনি চেয়েছিলেন, ঘনিষ্ঠ আত্নীয়স্বজনের মধ্যে মারামারির ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে মিমাংশা হোক। কিন্তু পরে জেনেছি, পুলিশ একপক্ষের মামলা নিয়েছে।